aip_quran
Translation

  العربية              বাংলা 

1. Surah Al-Fatiha
2. Surah Al-Baqara
3. Surah Aal-e-Imran
4. Surah An-Nisa
5. Surah Al-Maidah
6. Surah Al-Anam
7. Surah Al-Araf
8. Surah Al-Anfal
9. Surah At-Tawbah
10. Surah Yunus
11. Surah Hud
12. Surah Yusuf
13. Surah Ar-Rad
14. Surah Ibrahim
15. Surah Al-Hijr
16. Surah An-Nahl
17. Surah Al-Isra
18. Surah Al-Kahf
19. Surah Maryam
20. Surah Taha
21. Surah Al-Anbiya
22. Surah Al-Hajj
23. Surah Al-Muminun
24. Surah An-Nur
25. Surah Al-Furqan
26. Surah Ash-Shuara
27. Surah An-Naml
28. Surah Al-Qasas
29. Surah Al-Ankabut
30. Surah Ar-Rum
31. Surah Luqman
32. Surah As-Sajdah
33. Surah Al-Ahzab
34. Surah Saba
35. Surah Fatir
36. Surah Ya-Sin
37. Surah As-Saffat
38. Surah Sad
39. Surah Az-Zumar
40. Surah Ghafir
41. Surah Fussilat
42. Surah Ash-Shuraa
43. Surah Az-Zukhruf
44. Surah Ad-Dukhan
45. Surah Al-Jathiya
46. Surah Al-Ahqaf
47. Surah Muhammad
48. Surah Al-Fath
49. Surah Al-Hujurat
50. Surah Qaf
51. Surah Adh-Dhariyat
52. Surah At-Tur
53. Surah An-Najm
54. Surah Al-Qamar
55. Surah Ar-Rahman
56. Surah Al-Waqiah
57. Surah Al-Hadid
58. Surah Al-Mujadila
59. Surah Al-Hashr
60. Surah Al-Mumtahanah
61. Surah As-Saf
62. Surah Al-Jumuah
63. Surah Al-Munafiqun
64. Surah Al-Taghabun
65. Surah At-Talaq
66. Surah At-Tahrim
67. Surah Al-Mulk
68. Surah Al-Qalam
69. Surah Al-Haqqah
70. Surah Al-Maarij
71. Surah Nuh
72. Surah Al-Jinn
73. Surah Al-Muzzammil
74. Surah Al-Muddaththir
75. Surah Al-Qiyamah
76. Surah Al-Insan
77. Surah Al-Mursalat
78. Surah An-Naba
79. Surah An-Naziat
80. Surah Abasa
81. Surah At-Takwir
82. Surah Al-Infitar
83. Surah Al-Mutaffifin
84. Surah Al-Inshiqaq
85. Surah Al-Buruj
86. Surah At-Tariq
87. Surah Al-Ala
88. Surah Al-Ghashiyah
89. Surah Al-Fajr
90. Surah Al-Balad
91. Surah Ash-Shams
92. Surah Al-Layl
93. Surah Ad-Duhaa
94. Surah Ash-Sharh
95. Surah At-Tin
96. Surah Al-Alaq
97. Surah Al-Qadr
98. Surah Al-Bayyinah
99. Surah Az-Zalzalah
100. Surah Al-Adiyat
101. Surah Al-Qariah
102. Surah At-Takathur
103. Surah Al-Asr
104. Surah Al-Humazah
105. Surah Al-Fil
106. Surah Quraysh
107. Surah Al-Maun
108. Surah Al-Kawthar
109. Surah Al-Kafirun
110. Surah An-Nasr
111. Surah Al-Masad
112. Surah Al-Ikhlas
113. Surah Al-Falaq
114. Surah An-Nas

26. Surah Ash-Shuara

26:1  طسم
ত্বা, সীন, মীম।
26:2  تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
26:3  لَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ أَلَّا يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ
তারা বিশ্বাস করে না বলে আপনি হয়তো মর্মব্যথায় আত্নঘাতী হবেন।
26:4  إِن نَّشَأْ نُنَزِّلْ عَلَيْهِم مِّنَ السَّمَاءِ آيَةً فَظَلَّتْ أَعْنَاقُهُمْ لَهَا خَاضِعِينَ
আমি যদি ইচ্ছা করি, তবে আকাশ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন নাযিল করতে পারি। অতঃপর তারা এর সামনে নত হয়ে যাবে।
26:5  وَمَا يَأْتِيهِم مِّن ذِكْرٍ مِّنَ الرَّحْمَٰنِ مُحْدَثٍ إِلَّا كَانُوا عَنْهُ مُعْرِضِينَ
যখনই তাদের কাছে রহমান এর কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
26:6  فَقَدْ كَذَّبُوا فَسَيَأْتِيهِمْ أَنبَاءُ مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
অতএব তারা তো মিথ্যারোপ করেছেই; সুতরাং যে বিষয় নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তার যথার্থ স্বরূপ শীঘ্রই তাদের কাছে পৌছবে।
26:7  أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الْأَرْضِ كَمْ أَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ
তারা কি ভুপৃষ্ঠের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না? আমি তাতে সর্বপ্রকার বিশেষ-বস্তু কত উদগত করেছি।
26:8  إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
26:9  وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
আপনার পালনকর্তা তো পরাক্রমশালী পরম দয়ালু।
26:10  وَإِذْ نَادَىٰ رَبُّكَ مُوسَىٰ أَنِ ائْتِ الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
যখন আপনার পালনকর্তা মূসাকে ডেকে বললেনঃ তুমি পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের নিকট যাও;
26:11  قَوْمَ فِرْعَوْنَ ۚ أَلَا يَتَّقُونَ
ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করে না?
26:12  قَالَ رَبِّ إِنِّي أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ
সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমার আশংকা হচ্ছে যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে দেবে।
26:13  وَيَضِيقُ صَدْرِي وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِي فَأَرْسِلْ إِلَىٰ هَارُونَ
এবং আমার মন হতবল হয়ে পড়ে এবং আমার জিহবা অচল হয়ে যায়। সুতরাং হারুনের কাছে বার্তা প্রেরণ করুন।
26:14  وَلَهُمْ عَلَيَّ ذَنبٌ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ
আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে। অতএব আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে।
26:15  قَالَ كَلَّا ۖ فَاذْهَبَا بِآيَاتِنَا ۖ إِنَّا مَعَكُم مُّسْتَمِعُونَ
আল্লাহ বলেন, কখনই নয় তোমরা উভয়ে যাও আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে। আমি তোমাদের সাথে থেকে শোনব।
26:16  فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অতএব তোমরা ফেরআউনের কাছে যাও এবং বল, আমরা বিশ্বজগতের পালনকর্তার রসূল।
26:17  أَنْ أَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
যাতে তুমি বনী-ইসরাঈলকে আমাদের সাথে যেতে দাও।
26:18  قَالَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ
ফেরাউন বলল, আমরা কি তোমাকে শিশু অবস্থায় আমাদের মধ্যে লালন-পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের মধ্যে জীবনের বহু বছর কাটিয়েছ।
26:19  وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ الَّتِي فَعَلْتَ وَأَنتَ مِنَ الْكَافِرِينَ
তুমি সেই-তোমরা অপরাধ যা করবার করেছ। তুমি হলে কৃতঘ্ন।
26:20  قَالَ فَعَلْتُهَا إِذًا وَأَنَا مِنَ الضَّالِّينَ
মূসা বলল, আমি সে অপরাধ তখন করেছি, যখন আমি ভ্রান্ত ছিলাম।
26:21  فَفَرَرْتُ مِنكُمْ لَمَّا خِفْتُكُمْ فَوَهَبَ لِي رَبِّي حُكْمًا وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُرْسَلِينَ
অতঃপর আমি ভীত হয়ে তোমাদের কাছ থেকে পলায়ন করলাম। এরপর আমার পালনকর্তা আমাকে প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং আমাকে পয়গম্বর করেছেন।
26:22  وَتِلْكَ نِعْمَةٌ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنْ عَبَّدتَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ
আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা বলছ, তা এই যে, তুমি বনী-ইসলাঈলকে গোলাম বানিয়ে রেখেছ।
26:23  قَالَ فِرْعَوْنُ وَمَا رَبُّ الْعَالَمِينَ
ফেরাউন বলল, বিশ্বজগতের পালনকর্তা আবার কি?
26:24  قَالَ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ
মূসা বলল, তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।
26:25  قَالَ لِمَنْ حَوْلَهُ أَلَا تَسْتَمِعُونَ
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, তোমরা কি শুনছ না?
26:26  قَالَ رَبُّكُمْ وَرَبُّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ
মূসা বলল, তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরও পালনকর্তা।
26:27  قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ الَّذِي أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُونٌ
ফেরাউন বলল, তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রসূলটি নিশ্চয়ই বদ্ধ পাগল।
26:28  قَالَ رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۖ إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ
মূসা বলল, তিনি পূর্ব, পশ্চিম ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, যদি তোমরা বোঝ।
26:29  قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَٰهًا غَيْرِي لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ
ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব।
26:30  قَالَ أَوَلَوْ جِئْتُكَ بِشَيْءٍ مُّبِينٍ
মূসা বলল, আমি তোমার কাছে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে আগমন করলেও কি?
26:31  قَالَ فَأْتِ بِهِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
ফেরাউন বলল, তুমি সত্যবাদী হলে তা উপস্থিত কর।
26:32  فَأَلْقَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُّبِينٌ
অতঃপর তিনি লাঠি নিক্ষেপ করলে মুহূর্তের মধ্যে তা সুস্পষ্ট অজগর হয়ে গেল।
26:33  وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ
আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো।
26:34  قَالَ لِلْمَلَإِ حَوْلَهُ إِنَّ هَٰذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, নিশ্চয় এ একজন সুদক্ষ জাদুকর।
26:35  يُرِيدُ أَن يُخْرِجَكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ
সে তার জাদু বলে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায়। অতএব তোমাদের মত কি?
26:36  قَالُوا أَرْجِهْ وَأَخَاهُ وَابْعَثْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
তারা বলল, তাকে ও তার ভাইকে কিছু অবকাশ দিন এবং শহরে শহরে ঘোষক প্রেরণ করুন।
26:37  يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٍ
তারা যেন আপনার কাছে প্রত্যেকটি দক্ষ জাদুকর কে উপস্থিত করে।
26:38  فَجُمِعَ السَّحَرَةُ لِمِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
অতঃপর এক নির্দিষ্ট দিনে জাদুকরদেরকে একত্রিত করা হল।
26:39  وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلْ أَنتُم مُّجْتَمِعُونَ
এবং জনগণের মধ্যে ঘোষণা করা হল, তোমরাও সমবেত হও।
26:40  لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَةَ إِن كَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ
যাতে আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি-যদি তারাই বিজয়ী হয়।
26:41  فَلَمَّا جَاءَ السَّحَرَةُ قَالُوا لِفِرْعَوْنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِن كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ
যখন যাদুকররা আগমণ করল, তখন ফেরআউনকে বলল, যদি আমরা বিজয়ী হই, তবে আমরা পুরস্কার পাব তো?
26:42  قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ إِذًا لَّمِنَ الْمُقَرَّبِينَ
ফেরাউন বলল, হঁ্যা এবং তখন তোমরা আমার নৈকট্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
26:43  قَالَ لَهُم مُّوسَىٰ أَلْقُوا مَا أَنتُم مُّلْقُونَ
মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, নিক্ষেপ কর তোমরা যা নিক্ষেপ করবে।
26:44  فَأَلْقَوْا حِبَالَهُمْ وَعِصِيَّهُمْ وَقَالُوا بِعِزَّةِ فِرْعَوْنَ إِنَّا لَنَحْنُ الْغَالِبُونَ
অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ফেরাউনের ইযযতের কসম, আমরাই বিজয়ী হব।
26:45  فَأَلْقَىٰ مُوسَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ
অতঃপর মূসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করল, হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্রাস করতে লাগল।
26:46  فَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ
তখন জাদুকররা সেজদায় নত হয়ে গেল।
26:47  قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
তারা বলল, আমরা রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।
26:48  رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ
যিনি মূসা ও হারুনের রব।
26:49  قَالَ آمَنتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ ۖ إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ فَلَسَوْفَ تَعْلَمُونَ ۚ لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ
ফেরাউন বলল, আমার অনুমতি দানের পূর্বেই তোমরা কি তাকে মেনে নিলে? নিশ্চয় সে তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা পরিণাম জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব। এবং তোমাদের সবাইকে শূলে চড়াব।
26:50  قَالُوا لَا ضَيْرَ ۖ إِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ
তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করব।
26:51  إِنَّا نَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَايَانَا أَن كُنَّا أَوَّلَ الْمُؤْمِنِينَ
আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্যুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী।
26:52  وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَسْرِ بِعِبَادِي إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
আমি মূসাকে আদেশ করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
26:53  فَأَرْسَلَ فِرْعَوْنُ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল,
26:54  إِنَّ هَٰؤُلَاءِ لَشِرْذِمَةٌ قَلِيلُونَ
নিশ্চয় এরা (বনী-ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল।
26:55  وَإِنَّهُمْ لَنَا لَغَائِظُونَ
এবং তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করেছে।
26:56  وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَاذِرُونَ
এবং আমরা সবাই সদা শংকিত।
26:57  فَأَخْرَجْنَاهُم مِّن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
অতঃপর আমি ফেরআউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম।
26:58  وَكُنُوزٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ
এবং ধন-ভান্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে।
26:59  كَذَٰلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলকে করে দিলাম এসবের মালিক।
26:60  فَأَتْبَعُوهُم مُّشْرِقِينَ
অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তারা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল।
26:61  فَلَمَّا تَرَاءَى الْجَمْعَانِ قَالَ أَصْحَابُ مُوسَىٰ إِنَّا لَمُدْرَكُونَ
যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা যে ধরা পড়ে গেলাম।
26:62  قَالَ كَلَّا ۖ إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ
মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন।
26:63  فَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنِ اضْرِب بِّعَصَاكَ الْبَحْرَ ۖ فَانفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ
অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমূদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল।
26:64  وَأَزْلَفْنَا ثَمَّ الْآخَرِينَ
আমি সেথায় অপর দলকে পৌঁছিয়ে দিলাম।
26:65  وَأَنجَيْنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُ أَجْمَعِينَ
এবং মূসা ও তাঁর সংগীদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিলাম।
26:66  ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ
অতঃপর অপর দলটিকে নিমজ্জত কললাম।
26:67  إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে একটি নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী ছিল না।
26:68  وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
আপনার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
26:69  وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ إِبْرَاهِيمَ
আর তাদেরকে ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন।
26:70  إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا تَعْبُدُونَ
যখন তাঁর পিতাকে এবং তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কিসের এবাদত কর?
26:71  قَالُوا نَعْبُدُ أَصْنَامًا فَنَظَلُّ لَهَا عَاكِفِينَ
তারা বলল, আমরা প্রতিমার পূজা করি এবং সারাদিন এদেরকেই নিষ্ঠার সাথে আঁকড়ে থাকি।
26:72  قَالَ هَلْ يَسْمَعُونَكُمْ إِذْ تَدْعُونَ
ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, তোমরা যখন আহবান কর, তখন তারা শোনে কি?
26:73  أَوْ يَنفَعُونَكُمْ أَوْ يَضُرُّونَ
অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে?
26:74  قَالُوا بَلْ وَجَدْنَا آبَاءَنَا كَذَٰلِكَ يَفْعَلُونَ
তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত।
26:75  قَالَ أَفَرَأَيْتُم مَّا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, যাদের পূজা করে আসছ।
26:76  أَنتُمْ وَآبَاؤُكُمُ الْأَقْدَمُونَ
তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা ?
26:77  فَإِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِّي إِلَّا رَبَّ الْعَالَمِينَ
বিশ্বপালনকর্তা ব্যতীত তারা সবাই আমার শত্রু।
26:78  الَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهْدِينِ
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন,
26:79  وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ
যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন,
26:80  وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
26:81  وَالَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحْيِينِ
যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন।
26:82  وَالَّذِي أَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ
আমি আশা করি তিনিই বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন।
26:83  رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর
26:84  وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ
এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর।
26:85  وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
এবং আমাকে নেয়ামত উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর।
26:86  وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ
এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্যতম।
26:87  وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ
এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না,
26:88  يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না;
26:89  إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।
26:90  وَأُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ
জান্নাত আল্লাহভীরুদের নিকটবর্তী করা হবে।
26:91  وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِلْغَاوِينَ
এবং বিপথগামীদের সামনে উম্মোচিত করা হবে জাহান্নাম।
26:92  وَقِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে।
26:93  مِن دُونِ اللَّهِ هَلْ يَنصُرُونَكُمْ أَوْ يَنتَصِرُونَ
আল্লাহর পরিবর্তে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে?
26:94  فَكُبْكِبُوا فِيهَا هُمْ وَالْغَاوُونَ
অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে আধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে।
26:95  وَجُنُودُ إِبْلِيسَ أَجْمَعُونَ
এবং ইবলীস বাহিনীর সকলকে।
26:96  قَالُوا وَهُمْ فِيهَا يَخْتَصِمُونَ
তারা তথায় কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়ে বলবেঃ
26:97  تَاللَّهِ إِن كُنَّا لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
আল্লাহর কসম, আমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ছিলাম।
26:98  إِذْ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনকর্তার সমতুল্য গন্য করতাম।
26:99  وَمَا أَضَلَّنَا إِلَّا الْمُجْرِمُونَ
আমাদেরকে দুষ্টকর্মীরাই গোমরাহ করেছিল।
26:100  فَمَا لَنَا مِن شَافِعِينَ
অতএব আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই।
26:101  وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٍ
এবং কোন সহৃদয় বন্ধু ও নেই।
26:102  فَلَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
হায়, যদি কোনরুপে আমরা পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পেতাম, তবে আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারী হয়ে যেতাম।
26:103  إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয়, এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
26:104  وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
26:105  كَذَّبَتْ قَوْمُ نُوحٍ الْمُرْسَلِينَ
নূহের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যারোপ করেছে।
26:106  إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের কি ভয় নেই?
26:107  إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত বার্তাবাহক।
26:108  فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
26:109  وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
26:110  فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
26:111  قَالُوا أَنُؤْمِنُ لَكَ وَاتَّبَعَكَ الْأَرْذَلُونَ
তারা বলল, আমরা কি তোমাকে মেনে নেব যখন তোমার অনুসরণ করছে ইতরজনেরা?
26:112  قَالَ وَمَا عِلْمِي بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
নূহ বললেন, তারা কি কাজ করছে, তা জানা আমার কি দরকার?
26:113  إِنْ حِسَابُهُمْ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّي ۖ لَوْ تَشْعُرُونَ
তাদের হিসাব নেয়া আমার পালনকর্তারই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে!
26:114  وَمَا أَنَا بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِينَ
আমি মুমিনগণকে তাড়িয়ে দেয়ার লোক নই।
26:115  إِنْ أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
26:116  قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا نُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمَرْجُومِينَ
তারা বলল, হে নূহ যদি তুমি বিরত না হও, তবে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে।
26:117  قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوْمِي كَذَّبُونِ
নূহ বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় তো আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে।
26:118  فَافْتَحْ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ فَتْحًا وَنَجِّنِي وَمَن مَّعِيَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে রক্ষা করুন।
26:119  فَأَنجَيْنَاهُ وَمَن مَّعَهُ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর সঙ্গিগণকে বোঝাই করা নৌকায় রক্ষা করলাম।
26:120  ثُمَّ أَغْرَقْنَا بَعْدُ الْبَاقِينَ
এরপর অবশিষ্ট সবাইকে নিমজ্জত করলাম।
26:121  إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
26:122  وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
26:123  كَذَّبَتْ عَادٌ الْمُرْسَلِينَ
আদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
26:124  إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ
তখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললেনঃ তোমাদের কি ভয় নেই?
26:125  إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত রসূল।
26:126  فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
26:127  وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি তোমাদের কাছে এর জন্যে প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো পালনকর্তা দেবেন।
26:128  أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ آيَةً تَعْبَثُونَ
তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা নিদর্শন নির্মান করছ?
26:129  وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ
এবং বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে?
26:130  وَإِذَا بَطَشْتُم بَطَشْتُمْ جَبَّارِينَ
যখন তোমরা আঘাত হান, তখন জালেম ও নিষ্ঠুরের মত আঘাত হান।
26:131  فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।
26:132  وَاتَّقُوا الَّذِي أَمَدَّكُم بِمَا تَعْلَمُونَ
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে সেসব বস্তু দিয়েছেন, যা তোমরা জান।
26:133  أَمَدَّكُم بِأَنْعَامٍ وَبَنِينَ
তোমাদেরকে দিয়েছেন চতুষ্পদ জন্তু ও পুত্র-সন্তান,
26:134  وَجَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
এবং উদ্যান ও ঝরণা।
26:135  إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
আমি তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তি আশংকা করি।
26:136  قَالُوا سَوَاءٌ عَلَيْنَا أَوَعَظْتَ أَمْ لَمْ تَكُن مِّنَ الْوَاعِظِينَ
তারা বলল, তুমি উপদেশ দাও অথবা উপদেশ নাই দাও, উভয়ই আমাদের জন্যে সমান।
26:137  إِنْ هَٰذَا إِلَّا خُلُقُ الْأَوَّلِينَ
এসব কথাবার্তা পূর্ববর্তী লোকদের অভ্যাস বৈ নয়।
26:138  وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হব না।
26:139  فَكَذَّبُوهُ فَأَهْلَكْنَاهُمْ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
অতএব, তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল এবং আমি তাদেরকে নিপাত করে দিলাম। এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
26:140  وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এবং আপনার পালনকর্তা, তিনি তো প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
26:141  كَذَّبَتْ ثَمُودُ الْمُرْسَلِينَ
সামুদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
26:142  إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ صَالِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদের ভাই সালেহ, তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না?
26:143  إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
26:144  فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
26:145  وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
26:146  أَتُتْرَكُونَ فِي مَا هَاهُنَا آمِنِينَ
তোমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়া হবে?
26:147  فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
উদ্যানসমূহের মধ্যে এবং ঝরণাসমূহের মধ্যে ?
26:148  وَزُرُوعٍ وَنَخْلٍ طَلْعُهَا هَضِيمٌ
শস্যক্ষেত্রের মধ্যে এবং মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের মধ্যে ?
26:149  وَتَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا فَارِهِينَ
তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ।
26:150  فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।
26:151  وَلَا تُطِيعُوا أَمْرَ الْمُسْرِفِينَ
এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য কর না;
26:152  الَّذِينَ يُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ
যারা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না;
26:153  قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্থুরেদ একজন।
26:154  مَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا فَأْتِ بِآيَةٍ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন নিদর্শন উপস্থিত কর।
26:155  قَالَ هَٰذِهِ نَاقَةٌ لَّهَا شِرْبٌ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
সালেহ বললেন এই উষ্ট্রী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা নির্দিষ্ট এক-এক দিনের।
26:156  وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَظِيمٍ
তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না। তাহলে তোমাদেরকে মহাদিবসের আযাব পাকড়াও করবে।
26:157  فَعَقَرُوهَا فَأَصْبَحُوا نَادِمِينَ
তারা তাকে বধ করল ফলে, তারা অনুতপ্ত হয়ে গেল।
26:158  فَأَخَذَهُمُ الْعَذَابُ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
এরপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
26:159  وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
26:160  كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ الْمُرْسَلِينَ
লূতের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
26:161  إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না ?
26:162  إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
26:163  فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
26:164  وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তা দেবেন।
26:165  أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ
সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর?
26:166  وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُم مِّنْ أَزْوَاجِكُم ۚ بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ
এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।
26:167  قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا لُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِينَ
তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে।
26:168  قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُم مِّنَ الْقَالِينَ
লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি।
26:169  رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা কর।
26:170  فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম।
26:171  إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ
এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংস প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
26:172  ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ
এরপর অন্যদেরকে নিপাত করলাম।
26:173  وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا ۖ فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنذَرِينَ
তাদের উপর এক বিশেষ বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। ভীতি-প্রদর্শিত দের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট।
26:174  إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
26:175  وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
26:176  كَذَّبَ أَصْحَابُ الْأَيْكَةِ الْمُرْسَلِينَ
বনের অধিবাসীরা পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
26:177  إِذْ قَالَ لَهُمْ شُعَيْبٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন শো’আয়ব তাদের কে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না?
26:178  إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
26:179  فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
26:180  وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
26:181  أَوْفُوا الْكَيْلَ وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُخْسِرِينَ
মাপ পূর্ণ কর এবং যারা পরিমাপে কম দেয়, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
26:182  وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ
সোজা দাঁড়ি-পাল্লায় ওজন কর।
26:183  وَلَا تَبْخَسُوا النَّاسَ أَشْيَاءَهُمْ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ
মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে ফিরো না।
26:184  وَاتَّقُوا الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالْجِبِلَّةَ الْأَوَّلِينَ
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী লোক-সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করেছেন।
26:185  قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম।
26:186  وَمَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ
তুমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
26:187  فَأَسْقِطْ عَلَيْنَا كِسَفًا مِّنَ السَّمَاءِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
অতএব, যদি সত্যবাদী হও, তবে আকাশের কোন টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও।
26:188  قَالَ رَبِّي أَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُونَ
শো’আয়ব বললেন, তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার পালনকর্তা ভালরূপে অবহিত।
26:189  فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمْ عَذَابُ يَوْمِ الظُّلَّةِ ۚ إِنَّهُ كَانَ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
অতঃপর তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে দিল। ফলে তাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। নিশ্চয় সেটা ছিল এক মহাদিবসের আযাব।
26:190  إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
26:191  وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
26:192  وَإِنَّهُ لَتَنزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ।
26:193  نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ
বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে।
26:194  عَلَىٰ قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ الْمُنذِرِينَ
আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন,
26:195  بِلِسَانٍ عَرَبِيٍّ مُّبِينٍ
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
26:196  وَإِنَّهُ لَفِي زُبُرِ الْأَوَّلِينَ
নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
26:197  أَوَلَمْ يَكُن لَّهُمْ آيَةً أَن يَعْلَمَهُ عُلَمَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ
তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাঈলের আলেমগণ এটা অবগত আছে?
26:198  وَلَوْ نَزَّلْنَاهُ عَلَىٰ بَعْضِ الْأَعْجَمِينَ
যদি আমি একে কোন ভিন্নভাষীর প্রতি অবতীর্ণ করতাম,
26:199  فَقَرَأَهُ عَلَيْهِم مَّا كَانُوا بِهِ مُؤْمِنِينَ
অতঃপর তিনি তা তাদের কাছে পাঠ করতেন, তবে তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করত না।
26:200  كَذَٰلِكَ سَلَكْنَاهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ
এমনিভাবে আমি গোনাহগারদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি।
26:201  لَا يُؤْمِنُونَ بِهِ حَتَّىٰ يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ
তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ না করে মর্মন্তুদ আযাব।
26:202  فَيَأْتِيَهُم بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে পড়বে, তারা তা বুঝতে ও পারবে না।
26:203  فَيَقُولُوا هَلْ نَحْنُ مُنظَرُونَ
তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না?
26:204  أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
তারা কি আমার শাস্তি দ্রুত কামনা করে?
26:205  أَفَرَأَيْتَ إِن مَّتَّعْنَاهُمْ سِنِينَ
আপনি ভেবে দেখুন তো, যদি আমি তাদেরকে বছরের পর বছর ভোগ-বিলাস করতে দেই,
26:206  ثُمَّ جَاءَهُم مَّا كَانُوا يُوعَدُونَ
অতঃপর যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হত, তা তাদের কাছে এসে পড়ে।
26:207  مَا أَغْنَىٰ عَنْهُم مَّا كَانُوا يُمَتَّعُونَ
তখন তাদের ভোগ বিলাস তা তাদের কি কোন উপকারে আসবে?
26:208  وَمَا أَهْلَكْنَا مِن قَرْيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ
আমি কোন জনপদ ধ্বংস করিনি; কিন্তু এমতাবস্থায় যে, তারা সতর্ককারী ছিল।
26:209  ذِكْرَىٰ وَمَا كُنَّا ظَالِمِينَ
স্মরণ করানোর জন্যে, এবং আমার কাজ অন্যায়াচরণ নয়।
26:210  وَمَا تَنَزَّلَتْ بِهِ الشَّيَاطِينُ
এই কোরআন শয়তানরা অবতীর্ণ করেনি।
26:211  وَمَا يَنبَغِي لَهُمْ وَمَا يَسْتَطِيعُونَ
তারা এ কাজের উপযুক্ত নয় এবং তারা এর সামর্থøও রাখে না।
26:212  إِنَّهُمْ عَنِ السَّمْعِ لَمَعْزُولُونَ
তাদেরকে তো শ্রবণের জায়গা থেকে দূরে রাখা রয়েছে।
26:213  فَلَا تَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ فَتَكُونَ مِنَ الْمُعَذَّبِينَ
অতএব, আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। করলে শাস্তিতে পতিত হবেন।
26:214  وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন।
26:215  وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
এবং আপনার অনুসারী মুমিনদের প্রতি সদয় হোন।
26:216  فَإِنْ عَصَوْكَ فَقُلْ إِنِّي بَرِيءٌ مِّمَّا تَعْمَلُونَ
যদি তারা আপনার অবাধ্য করে, তবে বলে দিন, তোমরা যা কর, তা থেকে আমি মুক্ত।
26:217  وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
আপনি ভরসা করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালুর উপর,
26:218  الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ
যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি নামাযে দন্ডায়মান হন,
26:219  وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
এবং নামাযীদের সাথে উঠাবসা করেন।
26:220  إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
26:221  هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ
আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে?
26:222  تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ
তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর।
26:223  يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ
তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
26:224  وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ
বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে।
26:225  أَلَمْ تَرَ أَنَّهُمْ فِي كُلِّ وَادٍ يَهِيمُونَ
তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
26:226  وَأَنَّهُمْ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ
এবং এমন কথা বলে, যা তারা করে না।
26:227  إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيرًا وَانتَصَرُوا مِن بَعْدِ مَا ظُلِمُوا ۗ وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ
তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ।