সিয়ামআল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য বিশেষ কিছু কল্যাণময় মরশুম নির্ধারণ করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। সেসময় তাদের সৎকর্মের পুরস্কার বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়, অসৎকর্মগুলিকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, মানুষের মর্যাদা উঁচু করা হয় এবং ঈমানদারদের হৃদয় স্বীয় প্রভুর প্রতি নিবিষ্ট হয়। যারা নিজেদেরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে নিতে পারে তারা সাফল্য লাভ করে আর যারা নিজেদের দূর্নীতিগ্রস্ত রাখে তারা ব্যর্থ হয়। আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে নিজের ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাঁর মহত্বপূর্ণ ইবাদতগুলির মধ্যে অন্যতম একটি ইবাদত সিয়াম (রোযা)। আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য সিয়ামকে বাধ্যতামূলক করেছেন।
সিয়ামের আভিধানিক অর্থআরবি শব্দ “সিয়াম”-র আভিধানিক অর্থ পরিহার করা, বিরত থাকা।
ইস্লামি পরিভাষাএর অর্থ : সওম পালনের সংকল্প (নিয়ত) করে ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্তওই সমস্ত জিনিস থেকে বিরত থাকা, যা সিয়ামকে ভেঙে দেয়, নষ্ট করে দেয়।
কুর্আন“হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের ওপর সিয়ামকে অপরিহার্য কর্তব্যরূপে নির্ধারিত করা হলো যেরূপ নির্ধারিত করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা আত্মসংযমী হতে পার”। [সূরা বাকারা ২:১৮৩]
আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদের সিয়াম পালনের প্রতি উৎসাহ দিচ্ছেন : “… তোমরা যদি বুঝে থাকো তাহলে সিয়াম পালনই তোমাদের জন্য কল্যাণকর”। [সূরা বাকারা ২:১৮৪]
তিনি সিয়ামকে মানবজাতির জন্য প্রিয় ও সহজ করেছেন, যেন তাদের অভ্যাস এবং যার প্রতি তারা অভ্যস্ত, সেটা পরিত্যগ করতে তাদের কোনো প্রকার কষ্ট না হয়। আল্লাহ্ তাআলা বলছেন : “… নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য …”। [সূরা বাকারা ২:১৮৪]
তিনি তাদের ওপর করুণা করেন এবং তাদেরকে যাবতীয় কষ্ট ও অনিষ্ট হতে রক্ষা করেন। যেমন তিনি বলছেন : “… তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্যদিনে এই সংখ্যা পূরণ করে নেবে …”। [সূরা বাকারা ২:১৮৪]
হাদিসআবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করছেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺবলেন : “তোমাদের নিকট এসে গেছে রমযান মাস, একটি কল্যাণময় মাস। আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের জন্য এর সিয়ামকে অপরিহার্য করেছেন। এই মাসে আকাশের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিতাড়িত অহংকারী শয়তানের পায়ে শিকল পরিয়ে দেওয়া হয়। আল্লাহ্র শপথ ! এর মধ্যে এমন একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাতের কল্যাণ হতে বঞ্চিত থাকবে সে সর্বতোভাবে বঞ্চিত থাকবে”। (মুস্নাদে আহ্মাদ ও নাসায়ি। দেখুন : আলবানির “সহি সুনানে নাসায়ি”, হাঃ ১৯৯২ এবং “সহি তারগিব ওয়া তারহিব”, হাঃ ৯৮৫)
আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করছেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺবলেন : “রমযানের প্রথম রাতেই শয়তান ও অহংকারী জিনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়, অতঃপর তার কোনো দরজা উম্মুক্ত করা হয় না। আর জান্নাতের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয়, অতঃপর তার কোনো দরজা বন্ধ করা হয় না। একজন ঘোষণাকারী এ বলে ঘোষণা দিতে থাকেন: হে কল্যাণকামী ! সামনে অগ্রসর হও। হে অনিষ্টকামী ! ক্ষান্ত হও। আল্লাহ্ তাআলা মানুষকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেন আর এমনটা প্রত্যেক রাত্রেই হয়”। (আল্বানির সহি তিরমিযি : ৫৪৯)
সিয়ামের বিধানএবিষয়ে সমগ্র মুস্লিম উম্মাহ একমত যে, রমযান মাসের সিয়াম অপরিহার্য। কুর্আন ও হাদিসে এর প্রমাণ বিদ্যমান। আল্লাহ্ তাআলা বলছেন : “হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের ওপর সিয়ামকে অপরিহার্য কর্তব্যরূপে নির্ধারিত করা হলো যেরূপ নির্ধারিত করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা আত্মসংযমী হতে পার”। [সূরা বাকারা ২:১৮৩]
রসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন : “ইস্লাম পাঁচটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত”। তার মধ্যে তিনি ﷺরমযানের সিয়ামের উল্লেখ করেছেন। (সহি বুখারি ১:৮)
সিয়ামের তাৎপর্যসিয়াম মহাতাৎপর্যপূর্ণ একটি ইবাদত। একটি বিশুদ্ধ হাদিসে উল্লেখ আছে : আল্লাহ্ তাআলা সিয়ামকে নিজের জন্য বেছে নিয়েছেন। আল্লাহ্ তাআলা স্বয়ং এর প্রতিদান দেবেন আর অপরিমিত হারে প্রতিদান দেবেন। হাদিসে কুদ্সিতে উল্লেখ আছে, আল্লাহ্ তাআলা বলছেন : “তবে সওম এর ব্যতিক্রম। সওম আমার জন্য আর আমিই এর প্রতিদান দেবো”। (সহি বুখারি : ১৯০৪; সহি তারগিব : ১/৪০৭)
“সওমের কোনো তুলনা নেই”। (নাসায়ি : ৪/১৬৫; সহি তারগিব : ১/৪১৩)
“সিয়াম পালনকারীর দুআ প্রত্যাখ্যাত হয় না”। (বায়হাকি : ৩/৩৪৫; আস-সাহিহাহ্ : ১৭৯৭)
“সওম পালনকারীর জন্য দুটি খুশির মুহূর্ত রয়েছে। একটি খুশি সওম ইফ্তারের সময় এবং অপরটি সওম নিয়ে স্বীয় প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ঘটবে”। (সহি মুস্লিম : ২/৮০৭)
কিয়ামতদিবসে সিয়াম বান্দার জন্য সুপারিশ করবে এবং বলবে : “হে প্রভু ! আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও কামনা-বাসনা পূরণ করতে দিইনি; সুতরাং তুমি তার জন্য আমার সুপারিশ গ্রহণ করো”। (মুস্নাদে আহ্মাদ : ২/১৭৪, হায়সামি “আল-মাজ্মা”, ৩/১৮১-তে এর সনদটিকে সহি বলেছেন। আরও দেখুন : সহি তারগিব : ১/৪১১)
“সওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহ্ তাআলার নিকট কস্তুরির সুগন্ধি অপেক্ষা অধিম প্রিয়”। (মুসলিম : ২/৮০৭)
“সিয়াম একটি সুরক্ষা ও শক্তিশালী দুর্গ যা মানুষকে অগ্নিকুণ্ড হতে রক্ষা করে”। (মুস্নাদে আহ্মাদ : ২/৪০২; সহি তারগিব : ১/৪১১; সহি আল-জামি’ : ৩৮৮০)
“যে ব্যক্তি আল্লাহ্র জন্য কেবল একদিন সওম পালন করবে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে সত্তর বছর জাহান্নামের অগ্নিকুণ্ড হতে দূরে সরিয়ে রাখবেন”। (মুস্লিম : ২/৮০৮)
“যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনার্থে মাত্র একদিন সওম করবে, যদি সেটা তার জীবনের শেষদিন হয়, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে”। (মুস্নাদে আহ্মাদ : ৫/৩৯১; সহি তারগিব : ১/৪১২)
“জান্নাতে রাইয়ান নামে একটি দরজা আছে। সেই দরজা দিয়ে কেবল সওম পালনকারীরা প্রবেশ করবে। তারা ব্যতীত আর কেউ সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যখন তাদের প্রবেশকার্য সম্পন্ন হয়ে যাবে, তখন সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং তারপর আর কেউ সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না”। (বুখারি : ১৭৯৭)
রমযান মাসের সিয়াম ইস্লামের একটি স্তম্ভ। এই মাসে কুর্আন অবতীর্ণ হয়েছে। এই মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, যেটি অন্য এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।
“রমযান মাস শুরু হলে জান্নাতের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানের পায়ে শিকল পরিয়ে দেওয়া হয়”। (বুখারি : ৩২৭৭)
“রমযানের সিয়াম অন্য দশ মাসের সিয়ামের সমতুল্য”। (মুস্নাদে আহ্মাদ : ৫/২৮০; সহি তারগিব : ১/৪২১)
“যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে ও সওয়াবের আশায় রমযানের সিয়াম পালন করবে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে”। (বুখারি : ৩৭)
“প্রত্যেক দিন সিয়াম ইফ্তারের সময় আল্লাহ্ তাআলা কিছু লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেওয়ার জন্য বেছে নেন”। (মুস্নাদে আহ্মাদ : ৫/২৫৬; সহি তারগিব : ১/৪১৯)
সিয়ামের উপকারিতাসিয়ামের বহু হিকমত ও উপকারিতা রয়েছে। এর সম্পর্ক রয়েছে তাক্বওয়ার সাথে, যার কথা আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াতে উল্লেখ করেছেন : “…… যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো”। [সূরা বাকারা : ২:১৮৩]
এই আয়াতের ব্যাখ্যা হলো : যদি একজন মানুষ কেবল আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি পাওয়ার আশায় এবং তাঁর শাস্তির ভয়ে বহু বৈধ জিনিস পরিহার করতে পারে, তাহলে তার জন্য অবৈধ কাজগুলি পরিহার করা আরও সহজতর হয়ে যায়।
যখন একজন মানুষের পেট খালি থাকে এবং সে ক্ষুধার্ত থাকে, তখন তার অন্য বহু মনোপ্রবৃত্তি ক্ষুধা ও প্রবৃত্তির অনুভূতি হতে সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু যখন তার পেট পরিতৃপ্ত থাকে, তখন তার জিহ্বা, দৃষ্টি, হাত ও গুপ্তাঙ্গগুলি ক্ষুধা অনুভব করতে শুরু করে। সিয়াম শয়তানকে পরাজিত করার পথ দেখায়। সিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে প্রবৃত্তিগুলিকে এবং সুরক্ষিত রাখে তার মনোপ্রবৃত্তিকে।
যখন সওম পালনকারী ব্যক্তি ক্ষুধার যন্ত্রণা অনুভব করে, তখন দরিদ্রের অনুভূতির ব্যাপারে তার অভিজ্ঞতা হয়। ফলস্বরূপ তার হৃদয়ে তাদের প্রতি সহানুভূতির উদ্রেক ঘটে এবং তাদের ক্ষুধা নিবারণের উদ্দেশ্যে তাদের কিছু দান করে। তাদের বিষয়ে শোনা আর তাদের কষ্ট ভাগ করে নেওয়া এক জিনিস নয়। যেরূপ একজন অশ্বারোহী মানুষ যতক্ষণ নিচে নেমে পদচরণ না করবে ততক্ষণ সে বুঝতে পারবে না যে, পায়ে হাঁটার কষ্ট কী।
সিয়াম মানুষকে আত্মপ্রবৃত্তি বর্জন ও পাপ হতে দূরত্ব অবলম্বনের প্রশিক্ষণ দেয়। এটা একজন মানুষকে সাহায্য করে তার প্রকৃতিকে জয় করতে এবং তার বদাভ্যাসগুলি পরিত্যাগ করতে। এছাড়া এটা মানুষকে সুশৃঙ্খল ও সময়ানুবর্তী হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়, যা তাদের এমন অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয় যাতে বহু বিশৃঙ্খল লোক নিপতিত। তবে এটা কেবল তাদের জন্য, যারা এটাকে বাস্তবরূপ দেয়।
তাছাড়া সিয়াম মুসলমানদের ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ। কেননা উম্মাহ একই সময়ে সিয়াম শুরু করে ও ভঙ্গ করে। যারা আল্লাহর দিকে অন্যদের আহ্বান করে, তাদের জন্যও এই সিয়াম একটি মহাসুযোগ করে দেয়। এই মাসে বহু মানুষ জীবনের প্রথম মসজিদে আসে। আবার অনেকেই এমন্ও আছে যারা দীর্ঘদিন ধরে মসজিদে আসেনি। কিন্তু তাদের হৃদয় উম্মুক্ত। সুতরাং আমাদের উচিত এই মহাসুযোগটিকে সর্বতোভাবে ব্যবহার করা এবং মৃদু পদ্ধতিতে তাদেরকে উপদেশবাণী দেওয়া, সঠিক শিক্ষা দেওয়া, ফলপ্রসূ কথা বলা এবং ন্যায় ও সৎ্কার্যে সহযোগিতা করা।
সিয়ামের আদব ও সুন্নাতসমূহসিয়ামে কিছু কাজ ফরজ আর কিছু মুস্তাহাব। অবশ্যই আমাদের উচিত সাহরির সময় কিছু পানাহার করা এবং সেটা ফজরের আযানের ঠিক আগে পর্যন্ত বিলম্বিত করা। রসূলুল্লাহ্ ﷺবলেছেন : “তোমরা সাহরি খাও, কেননা সাহরিতে বরকত আছে”। (বুখারি : ৪/১৩৯)
সাহরি খুব কল্যাণময় খাবার। রসূলুল্লাহ্ ﷺবলেন : “মু’মিনের জন্য খেজুর খুব সুন্দর সাহরি”। (আবুদাউদ : ২৩৪৫; সহি তারগিব : ১/৪৪৮)
ইফ্তারে দেরী করা উচিত নয়। কারণ রসূলুল্লাহ্ ﷺবলেছেন : “লোকেরা যতদিব শীঘ্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে”। (বুখারি ৪/১৯৮, হাঃ ১৯৫৭)
প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত হাদিসে বর্ণিত নিয়মেই ইফতার করা। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে : “রসূলুল্লাহ্ ﷺস্বালাত আদায়ের পূর্বেই তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাজা খেজুর না পেলে শুকনো খেজুর খেতেন। শুকনো খেজুর না পাওয়া গেলে তিনি কয়েক ঢোক পানি পান করে নিতেন”। (তিরমিযি ৩/৭৯, তিনি বলেন এটি গারিব হাসান হাদিস। আল্বানি হাদিসটিকে সহি বলেছেন, দেখুন : আল-ইর্ওয়া :৯২২)
ইফ্তারের পর হাদিসে বর্ণিত দুআটি পাঠ করা সুন্নাত। ইবনে উমার কর্তৃক বর্ণিত : ইফ্তারের সময় রসূলুল্লাহ্ ﷺবলতেন : “যাহাবায্ব য্বমাউ ওয়াব্তাল্লাতিল উ’রুক্বু ওয়া সাবাতাল আজ্রু ইন্ শা আল্লাহু”, (পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, শিরা-উপশিরাগুলি সিক্ত হয়েছে এবং সওয়াব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ইন শা আল্লাহ্)। (আবুদাউদ ২/৭৬৫; দারাকুত্বনি (২/১৮৫) এর সনদটিকে হাসান বলেছেন)।
এই মহৎ মাসটিতে কী করা উচিতইবাদতের জন্য আপনি নিজে প্রস্তুতি নিন এবং আপনার পরিবেশকে এর উপযোগী করে তুলুন। তজ্জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলি করুন :
আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করছেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺবলেন : “তোমাদের নিকট এসে গেছে রমযান মাস, একটি কল্যাণময় মাস। আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের জন্য এর সিয়ামকে অপরিহার্য করেছেন। এই মাসে জান্নাতের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিতাড়িত অহংকারী শয়তানের পায়ে শিকল পরিয়ে দেওয়া হয়। আল্লাহ্র শপথ ! এর মধ্যে এমন একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাতের কল্যাণ হতে বঞ্চিত থাকবে সে সর্বতোভাবে বঞ্চিত থাকবে”। (নাসায়ি : ৪/১২৯; সহি তারগিব ওয়া তারহিব “ ১/৪৯০)
আরও দেখুনশাহাদাহ্, স্বালাত, যাকাত, হজ্জ, সিয়ামের আভ্যান্তরীণ রহস্য, ইস্লাম ও অন্যান্য ধর্মে সিয়াম, সিয়ামের তাৎপর্য ও হিকমত।
তথ্যসূত্রশায়খ মুহাম্মাদ সালিহ্ আল-মুনজিদের প্রণয়ন http://d1.islamhouse.com/data/en/ih_books/single/en_Matters_Related_to_Fasting.pdf |
.